Important National Leaders In India
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধি (১৮৬৯-১৯৪৮) |
গোপাল কৃষ্ণ গোখলে (১৮৮৬-১৯১৫) |
বাল গঙ্গাধর তিলক (১৮৫৭-১৯২০) |
সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭-১৯৪৫) |
জওহরলাল নেহরু (১৮৮৯-১৯৬৪) |
● মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধি (১৮৬৯-১৯৪৮) :
★ ১৯৬৯ সালের ২রা অক্টোবরের পোরবন্দরে (কাথিয়াবাড়) “জাতীর জনক” (এম. কে. গান্ধি) জন্মগ্রহণ করে ছিলেন। তার পিতা ও মাতা ছিল করমচাঁদ গান্ধি ও পুতলিবাই গান্ধি। তিনি ১৮৮৩ সালে কস্তুরবাই বিবাহ করেন।
★ ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি আইন [Low] ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য ইংল্যান্ডে (বিলাত) যান এবং ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধি বিলাত থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে ভারতে ফিরে আসেন।
★ রাজকোট ও পোরবন্দরে মুসলিমদের একটি ফার্মের আইনজ্ঞ হয়ে সাউথ আফ্রিকার নাটালে যান। সেখানে তিনি শ্বেতাঙ্গদের দ্বারা বর্ণবিদ্বেষের সম্মুখীন হন ও বর্ণ বিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলেন।
তিনি সেখানে “নাটাল ইন্ডিয়ান কংগ্রেস” নামে একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলেন এবং “ইন্ডিয়ান ওপেনিয়ান” নামে একটি সংবাদ পত্র চালু করেন। ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে ডারবান-এর নিকট তিনি “ফেনিক্স ফার্ম” গঠন করেন।
★ এম. কে. গান্ধি ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দের ৯ জানুয়ারি ভারতে ফিরে আসেন।
★ ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি আহমেদাবাদে সবরমতী আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।
★ চম্পারণ সত্যাগ্রহ (১৯১৭) : বিহারের চম্পারণে শ্বেতাঙ্গ নীলকরেরা এখানকার কৃষকদের উপর নানা প্রকার শোষণ ও অত্যাচার চালিয়ে কৃষকদের বাধ্য করত তাদের কৃষিজামির ৩/২০ অংশে নীলচাষ করতে (এটিকে তিনকাধিয়া প্রথা বলা হত)। কিন্তু নীলচাষিরা নীল চাষ করতে অস্বীকার করে আন্দোলন করেন। তখন শ্বেতাঙ্গ নীলকরেরা আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের লোকসান কমানোর জন্য কৃষকদের উপর উচ্চহারে করধার্স করতে থাকে। গান্ধিজি রাজেন্দ্র প্রসাদ ও অন্যান্যদের সহযোগিতায় ইংরেজদের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহের হুমকি দেন। গান্ধিজি গ্রেপ্তার করা হয় এবং তারপর সরকার বাধ্য হয়ে নীল সমিতি গঠন করতে ১৯১৭ খ্রিঃ জুন মাসে। তারপর সরকার তিনকাঠিয়া প্রথা অবশেষে রদ করেন এবং চাষিদের উপর থেকে অতিরিক্ত করের বোঝা মকুব করা হয়।
★ আহমেদাবাদ মিল শ্রমিক ধর্মঘট (মার্চ, ১৯১৮) : আহমেদবাদে সুতাকল শ্রমিক ও মিল মালিকদের মধ্যে সুতাকল শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন বৃদ্ধির জন্য গন্ডগোল শুরু হয়, যেটা মিল মালিকরা দিতে অস্বীকার করে। অন্যদিকে শ্রমিকরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য অসুবিধার মধ্যে পড়ে এই শ্রমিকরা ন্যায্য বেতন বৃদ্ধির আবেদন জানায়। গান্ধিজি ট্রাইবুনালের মাধ্যমে মিল মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে সমঝোতা করান। কিন্তু মিল মালিকরা কথা দিয়েও সেই কথা পরে রাখেনি। তখন গান্ধিজি প্রথম “অনশন ধর্মঘট” শুরু করেন। গান্ধিজির অনশন ফলপ্রস্যু হয় এবং শ্রমিক ও মিল মালিকদের মধ্যে বিবাদের সন্তোষজনক মীমাংসা হয়। শেষ পর্যন্ত মিলমালিকরা (35%) 55% মজুরি বৃদ্ধি করলে আমেদাবাদে সত্যাগ্রহ প্রত্যাহার করা হয়।
★ খেদা সত্যাগ্রহ (১৯১৮) : শস্য হানি এবং জমির কর মকুবের জন্য সরকারের কাছে আবেদন খারিজ হওয়ায় চাষিরা খুবই দুরবস্থার মধ্যে পড়েন। প্লেগ, মূল্যবৃদ্ধি এবং খরার কারণে ইতিমধ্যেই খেদার চাষিদের অবস্থা করুণ হয়ে উঠেছিল। যখন সমস্ত আবেদন অগ্রাহা হল তখন গান্ধিজি কৃষকদের মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করতে উপদেশ দিলেন। সরকার অবশেষে ঘোষণা করলেন, যে সমস্ত পরিসমাপ্তি ঘটে। কৃষকরা সক্ষম হবে কেবলমাত্র তাদের থেকেই কর ধার্য করা হবে। এর ফলে এই আন্দোলনের (কলকাতা অধিবেশন, ১৯০৬)।
★ দাদাভাই নৌরজি (১৮২৫-১৯১১) : ইনি জাতীয় কংগ্রেসে থেকে প্রথম “স্বরাজ” দাবি করেছিলেন।
★ ‘প্রাভার্টি’ অ্যান্ড আন-ব্রিটিশ রুল ইন ইন্ডিয়া’ (১৯০১ সালে) নামক বই লিখে তিনি ভারত থেকে ব্রিটিশদের সম্পদ নিয়ে যাওয়া এবং ভারতের খুব দারিদ্রের কথা তুলে ধরেন।
★ ‘ইন্ডিয়ান গ্ল্যাডস্টোন’ এবং ‘গ্র্যান্ড ওল্ড ম্যান অব ইন্ডিয়া’ নামেও পরিচিত।
লিবারেল পার্টির টিকিটে তিনি ‘হাউস অব্ কমন্স’-এ নির্বাচিত হন (প্রথম ভারতীয় হিসাবে)।
● গোপাল কৃষ্ণ গোখলে (১৮৮৬-১৯১৫) :
★ গান্ধিজি তাঁকে তাঁর রাজনৈতিক গুরু হিসাবে মানতেন।
★ ১৯০৫ সালে বেনারস অধিবেশনে তিনি সভাপতিত্ব করেন।
★ ১৯০৫ সালে সাজেন্টস্ অব্ ইন্ডিয়ান সোসাইটি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল ন্যাশনাল মিশনারিজ হিসাবে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের শিক্ষাদান করা।
● বাল গঙ্গাধর তিলক (১৮৫৭-১৯২০) :
★ আগরকরের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কম খরচে মানুষদের শিক্ষাদান করার জন্য প্রতিষ্ঠান গঠন করেন।
★ তিনি প্রথম জাতীয় নেতা ছিলেন যিনি সফল মানুষের সঙ্গে নিজের কান্ডের সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
★ আমরা লাঠি ক্লাব, গোহত্যা নিষিদ্ধ সোসাইটি সৃষ্টি করে তিনি জনসংযোগ তৈরি করেন।
★ দুটি সংবাদপত্র দ্যা মহারাষ্ট্র (ইংরেজিতে) এবং (শরীর) চালু করেন।
★ প্রথম কংগ্রেস নেতা যিনি কারারুদ্ধ হয়েছিলেন।
★ লাল-বাল-পাল গ্রুপ গঠন করেছিলেন এবং ১৯০৭ সালে সুরটি কংগ্রেসে বিভাজন সৃষ্টি করেন।
★ ১৯১৬ সালে হোম বুল লিগ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯১৯ সালে অনুতার কংগ্রেলে পুনর্গঠন আইনে সাহায্য করেন।
★ ভ্যালেন্টাইন শিরোগ তাকে ‘ফাদার অফ ইন্ডিয়ান আনরেন্ট’ বলে অভিহিত করেন।
★ ১৯২০ সালের নাগপুর অধিবেশনে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসে পূর্ণ স্বরাজের দাবি করে (শৃধমাত্র তিলকের স্লোগানের পর)।
★ তাঁর বহুগলি হল ‘দ্য আর্কটিক হোম অফ বেদান’ ও ‘গীতা রহস্য’।
● সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭-১৯৪৫) :
★ সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ খ্রিঃ ২৩শে জানুয়ারি কাটুক শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইনি সকলের কাছে নেতাজি নামে পরিচিত।
★ নেতাজি ১৯২০ খ্রিঃ ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাস করেন। কিন্তু তিনি এটি ছেড়ে দেন। গান্ধিজি অসহযোগ আন্দোলনের জন্য যখন ডাকেন।
★ নেতাজি জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে ইন্ডিপেন্ডেন্স ফর ইন্ডিয়া লিগ প্রতিষ্ঠা করেন।
★ ১৯৩৮ খ্রিঃ হরিপুরা আধিবেশনে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৩৯ খ্রিঃ নেতাজি কংগ্রেসের ত্রিপুরি অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচিত হন, কিন্তু গান্ধিজির সঙ্গে মতবিরোধের জন্য তিনি সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন।
★ ১৯৩৯ খ্রিঃ তিনি ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করেন।
★ ১৯৪১ খ্রিঃ তিনি লুকিয়ে বার্লিন যান এবং হিটলারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
* ১৯৪৩ খ্রিঃ তিনি সিঙ্গাপুরে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির দায়িত্ব নেন। তিনি “দিল্লি চলো” ধ্বনি তোলেন।
★ তিনি মহাত্মা গান্ধিকে জাতির জনক বলে অভিহিত করেন। তিনি ‘জয় হিন্দ” শ্লোগান তোলেন।
★ তিনি “দ্যা ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল” নামে নিজের আত্মজীবনী লেখেন।
● জওহরলাল নেহরু (১৮৮৯-১৯৬৪) :
★ জওহরলাল নেহরু ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তাকে “আধুনিক ভারতের রূপকার হিসাবে ধরা হয়।
★ ১৮৮৯ খ্রিঃ ১৪ই নভেম্বর এলাহাবাদে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
★ ১৯২৮ খ্রিঃ তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হন এবং ১৯২৯ খ্রিঃ কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। লাহোর অধিবেশনে তিনি সভাপতি থাকাকালীন স্বাধীন ভারতের খসড়া তৈরি হয়।
★ ১৯৪৭ খ্রিঃ থেকে ১৯৬৪ খ্রিঃ পর্যন্ত তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি পঞ্চশীল নীতির লেখক ছিলেন।
মার্কসবাদ কাকে বলে? মার্কসবাদ কি
গঙ্গাস্তোত্রম্ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং উত্তর (Sanskrit QNA) HS