বনগতা গুহা – অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
বনগতা গুহা – অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর দ্বাদশ শ্রেণী, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর সংস্কৃত সহায়িকা, HS Sanskrit Suggestions 2022
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: ১. কশ্যপ ও অলিপবা কে ছিল? তারা কোথায় বাস করত?
উত্তর : বনগতা গুহা’শীর্ষক পাঠ্যাংশে কশ্যপ ও অলিপবা দুই ভাই। তারা পারসিক নগরীতে বাস করত।
প্রশ্ন: ২. বনগতা গুহা’ শীর্ষক পাঠ্যাংশটির উৎস কী ?
উত্তর : ‘বনগতা গুহা’শীর্ষক পাঠ্যাংশটি অনুবাদ সাহিতের অন্তর্গত। গােবিন্দকৃয় মােদক অনূদিত গ্রন্থটির নাম ‘চোরচত্বারিংশী কথা। সুতরাং উক্ত গ্রন্থটিই আলােচ্য পাঠ্যংশের উৎস। তবে মূল উৎস ‘সহস্র এক আরব্য রজনী’ নামক গল্প সংকলনের অন্যতম জনপ্রিয় গল্প ‘আলিবাবা ও চল্লিশ চোর’ নামক গল্পের সংস্কৃত অনুবাদ হল উক্ত পাঠ্যাংশ।
প্রশ্ন: ৩. কশ্যপ ও অলিপৰ্বার পিতার কেন নিজ সম্পত্তি দুই পুত্রের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছিলেন?
উত্তর : কশ্যপ ও অলিপৰ্বার পিতা আর্থিকভাবে অতি ধনবান ছিলেন না। তাই নিজ মৃত্যু আসন্ন বুঝতে পেরে দুই পুত্রের মধ্যে সম্পত্তি সমান ভাগে ভাগ করে দিয়েছিলেন, যাতে সম্পত্তি অর্জনের ক্ষেত্রে দু’জনেই সাম্যাবস্থায় বজায় থাকতে পারে, কোনাে বিবাদ উপস্থিত না হয়।
প্রশ্ন: ৪. কশ্যপ কীভাবে ধনবান হয়েছিল?
উত্তর : কশ্যপ এক মহাধনবান ব্যক্তির কন্যাকে বিবাহ করেছিল। বিবাহের ফলে খুব তাড়াতাড়িই সে নগরের শ্রেষ্ঠ বণিকদের মত বিত্তশালী হয়েছিল।
প্রশ্ন: ৫. বিয়ের পর কশ্যপ কীভাবে দিনযাপন করত এবং কোনাে জিনিস তার দুষ্প্রাপ্য ছিল না কেন?
উত্তর : বিয়ের কল্যাণে ধনী হওয়া কশ্যপ বিলাসিতার সঙ্গে দিনযাপন করত। প্রভূত ধনসম্পত্তির কারণে অভীষ্ট কোন জিনিসই তার কাছে দুষ্প্রাপ্য ছিল না।
প্রশ্ন: ৬. অলিপৰ্বা কোথায় বাস করত ও কেন?
উত্তর : অলিপৰ্বার সম্পত্তি ছিল খুবই অল্প। যে কারণে সে ছিল হতদরিদ্র ও নিঃস্ব। ফলে অর্থাভাবের জন্য পর্ণকুটিরে সে। বাস করত এবং অতি কষ্টে স্ত্রীপুত্রদের পালন করত।
প্রশ্ন: ৭. প্রতিদিন ভােরবেলা অলিপৰ্বা কোথায় যেত ও কেন ?
উত্তর : অত্যন্ত দারিদ্র্যের কারণে অলিপর্ব প্রতিদিন ভােরবেলা জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের জন্য বনে যেত।
প্রশ্ন: ৮. অলিপৰ্বা জীবিকা নির্বাহ করতকীভাবে? বা সংসার প্রতিপালন করত ?
উত্তর : সহােদর কশ্যপের ন্যায় অলিপর্বা ধনবান ছিল না। দিন আনি দিন খাই তার অবস্থা। তাই প্রতিদিন সকালে বনে গিয়ে সে জ্বালানি কাষ্ঠ সংগ্রহ করত এবং সেই কাঠনগরে বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করত। এভাবেই সে স্ত্রীপুত্রসহ সংসার প্রতিপালন করত।
প্রশ্ন: ৯. বনাঞ্চলে দস্যুদের উৎপাতের কারণ কী ছিল?
উত্তর : ‘বনগতা গুহা’ শীর্ষক পাঠ্যাংশে বর্ণিত বনাঞ্চলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ছিল খুবই কম। রাজপুরুষেরা ঐঅন্দুলে চলাফেরা না করায় সেখানে দস্যুদের উৎপাত ছিল যথেষ্টই।
প্রশ্ন: ১০. অলিপৰ্বা গুপ্ত’থানে লুক্কায়িত হতে চাইল কেন?
উত্তর : বনে কাঠ সংগ্রহে গিয়ে অলিপবা অশ্বসজ্জিত দস্যুদের সম্মুখীন হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে নিরাপদে আড়ালে। থাকার জন্য সে গোপন স্থানে লুক্কায়িত থাকতে চাইল।
প্রশ্ন: ১১. লুক্কায়িত থাকার জন্য অলিপৰ্বা বিশালবৃক্ষকে নিরাপদ মনে করল কেন?
উত্তর : চোরেদের কাছ থেকে লুকিয়ে থাকার জন্য অলিপর্বা বিশাল এক বৃক্ষে আরােহণ করেছিল। কেননা বৃক্ষটির শাখা প্রশাখা ছিল বিশাল এবং ঘন পাতাযুক্ত। ফলে লুক্কায়িত ব্যক্তি কারাে দৃষ্টিগােচরে আসবেনা—এই চিন্তা করেই সে বিলাল বৃক্ষকে নিরাপদ মনে করেছিল।
প্রশ্ন: ১২. বনাঞ্চলে বিদ্যমান পর্বতের শিখরদেশ মানুষের কাছে দুর্গম ছিল কেন ?
উত্তর: বনাঞ্চলে, রাজপুরুষদের প্রহরাবিহীন স্থান এবং দস্যুদের অবাধ বিচরণস্থল। ফলত সাধারণ মানুষের মনে একটা ভীতি তাে থাকেই। সেই সঙ্গে পর্বতের সুউচ্চ উচু-নীচু চুড়া গমনাগমনের পক্ষে কষ্টসাধ্য। তাই বনপ্রদেশের পর্বতের শিখরদেশ মানুষের পক্ষে দুর্গম ছিল।
প্রশ্ন: ১৩. দস্যুদের মধ্যে কাকে অলিগার নেতা মনে হয়েছিল?
উত্তর: সর্বমােটচল্লিশজন দস্যু বা চোরের মধ্যে একজনকে নেতা হিসাবে অনুমান করেছিল অলিপর্ব। সেই ব্যক্তি অন্যদের চেয়ে বিশিস্ট আকৃতির অধিকারী ছিল। তার সেই আকারই তাকে অন্যদের চেয়ে পৃথক করেছিল।
প্রশ্ন: ১৪. দস্যরা যতক্ষণ গুহায় ছিল ততক্ষণ অলিপর্ব কোথায় ছিল এবং সে তখন কী চিন্তা করেছিল?
উত্তর : দস্যুরা যতক্ষণ গুহায় ছিল ততক্ষণ অলিপর্বা বৃক্ষশাখাতেই ছিল। তখন সে চিন্তা করল, সেই সময় যদি বাড়ির দিকে যায় এবং সেই মুহূর্তে যদি চোরেরা গুহার বাইরে বেরিয়ে আসে। তাহলে তার প্রাণসংশয় হতে পারে। তাই সে বৃক্ষশাখা থেকে নেমে আসেনি।
প্রশ্ন: ১৫. চোরেদের দলনেতা বাইরে এসে কী করল?
উত্তর : চোরেদের দলনেতা বাইরে এসে গুহারদ্বার প্রান্তে দাঁড়িয়ে সকল সহচরকে বাইরে আনল। তারপর গুহার দ্বারমুখ। বন্ধের জন্য দস্যুদের স্কন্দরাজ কার্তিকের নিকট দ্বারবন্ধের প্রার্থনামন্ত্র উচ্চারণ করেছিল।
প্রশ্ন: ১৬. চোরেরা চলে যাবার পরও প্রথমে অলিপৰ্বা তার স্থান ত্যাগ করেনি কে?
উত্তর : চোরেরা চলে যাবার পরও অলিপর্ব প্রথমে তার স্থান ত্যাগ করেনি এই আশঙ্কায়, যদি সে গাছ থেকে অবতরণ করে এবং তার গমনের পূর্বেই যদি চোরেদের কেউ বিস্মৃত কোন জিনিস নিতে ফিরে আসে তাহলে দেখা মাত্রই সে বন্দী হতে পারে।
প্রশ্ন: ১৭. দস্যুরা চলে যাবার পর অলিপর্ব কী করল ?
উত্তর : তারপর অলিপর্ব চিন্তা করল পূর্বত পদ্য দ্বারা গুহার দ্বার উদ্ঘাটন করা তারপক্ষে উচিত কাজ হবে কিনা। এরপর সব কিছু দৈবের উপর ন্যস্ত করে সে গাছ থেকে নেমে গুল্মলতার মধ্য দিয়ে পর্বতের গুহামুখের দিকে এগিয়ে গেল।
প্রশ্ন : ১৮. গুহার ভিতর প্রবেশ করে অলিপৰ্বা কী দেখল ?
উত্তর : গুহার ভিতর প্রবেশ করে অলিপর্ব দেখল চারিদিকে রাশি রাশি ভক্ষ্য দ্রব্য, অত্যন্ত দামি চীনাংশুকনামক বস্ত্র রাজি দেখল। সেই সঙ্গে সােনা ও রূপার বিশাল বিশাল আকৃতির বহু শলাকা দেখেছিল।
প্রশ্ন : ১৯. অলিপৰ্বা কিসের ভিতরে কতটা ধন সে গুহা থেকে নিয়েছিল ?
উত্তর : অলিপর্বা গুহা থেকে মৃগচর্মের থলেতে ততটাই মণিমাণিক্য সংগ্রহ করেছিল যতটা তার গাধাগুলি বহন করতে সক্ষম।
প্রশ্ন: ২০. অলিপৰ্বা সােনারূপা সংগ্রহ করে কীভাবেনগরে ফিরে এসেছিল ?
উত্তর : অলিপৰ্বা গুহা থেকে হরিণের চামড়ার থলেতে সােনারূপা মণিমাণিক্য সংগ্রহ করে গাধার পিঠে চাপিয়ে থলিগুলি কাঠের দ্বারা ঢেকে নিয়ে দ্রুতগতিতে নগরে ফিরে এসেছিল।
প্রশ্ন : ২১. বনগতা গুহা” গল্পাংশটি কে অনুবাদ করেন মূল কোন্ ভাষায় রচিত? এই গল্পের মূল চরিত্র দুটির নাম ছিল?
উত্তর : বনগতা গুহা’ গল্পাংশটি ‘চোরচত্বারংশী কথা’ নামে শ্রী গােবিন্দকৃয় মােক অনুবাদ করেন। মূল গল্প পারসিক ভাষায় রচিত। মূল গল্পে চরিত্র দুটির নাম আলিবাবা ও কাশিম।
প্রশ্ন : ২২. সংবৃতি মন্ত্র’শব্দটি এখানে কি অর্থে প্রযুক্ত?
উত্তর : ‘সংবৃতিমন্ত্র’ শব্দটি এখানে গুহার দ্বার বন্ধ করার মন্ত্র হিসেবে প্রযুক্ত। ঐ মন্ত্র উচ্চারণে গুহার দ্বার বন্ধ হয়ে যায়।
গঙ্গাস্তোত্রম্ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং উত্তর (Sanskrit QNA) HS
গঙ্গাস্তোত্রম্ – দ্বাদশ শ্রেণী (Sanskrit HS)
কে বাঁচায় কে বাঁচে প্রশ্ন এবং উত্তর (Question and Answer). HS