Bangla Suggestionsদ্বাদশ শ্রেণি

কে বাঁচায় কে বাঁচে প্রশ্ন এবং উত্তর (Question and Answer). HS

কে বাঁচায় কে বাঁচে প্রশ্ন এবং উত্তর বাংলা সাজেশন, কে বাঁচায় কে বাঁচে প্রশ্ন এবং উত্তর, বাংলা সাজেশন HS, HS Bangla Suggestions

কে বাঁচায় কে বাঁচে প্রশ্ন এবং উত্তর HS Bangla

[১] “কয়েক মিনিটে মৃত্যুঞ্জয়ের সুস্থ শরীরটা অসুস্থ হয়ে গেল।”—মৃত্যুঞ্জয়ের অসুখ হওয়ার কারণ কী?

উত্তর : আপিস যাবার পথে প্রথমবার অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখে মৃত্যুঞ্জয়ের অসুখ হয়েছিল।

[২] “একটু বসেই তাই উঠে গেল কলঘরে।”—কলঘরে উঠে যাওয়ার কারণ কী?

উত্তর : অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখে মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক বেদনাবােধের সঙ্গে চলতে থাকে শারীরিক কষ্টবােধ। বাড়ি থেকে খেয়ে আসা খাবার বমি করার জন্যই সে আপিসে পৌছে একটু বসেই কলঘরে উঠে গেল।

[৩] পাশের কুঠরি থেকে নিখিল যখন খবর নিতে এল,—সে এসে কী দেখল?

উত্তর : পাশের কুঠরি থেকে নিখিল খবর নিতে এসে দেখল যে মৃত্যুঞ্জয় কাচের গ্লাসে জলপান করছে। গ্লাসটা খালি করে নামিয়ে রেখে সে শুন্যদৃষ্টিতে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে রইল।

[৪] ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পে নিখিল কেমন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন?

উত্তর : নিখিল রােগা, তীক্ষ্ণবুদ্ধি এবং একটু আলসে প্রকৃতির লােক। তা ছাড়া সংসারে তার বিশেষ মন নেই। অবসর জীবনটা সে বই পড়ে এবং একটা চিন্তাজগৎ গড়ে তুলে কাটিয়ে দিতে চায়।

[৫] “অন্য সকলের মতাে মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে।”—মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করার কারণ কী?

উত্তর : মৃত্যুঞ্জয় শুধু নিরীহ, শান্ত, দরাজ ভালােমানুষ বলে নয়, সৎ ও সরল বলেও নয়, মানবসভ্যতার সবচেয়ে প্রাচীন ও সবচেয়ে। পচা ঐতিহ্য আদর্শবাদের কল্পনাতাপস বলে অন্য সকলের মতাে নিখিলও মৃত্যুঞ্জয়কে খুব পছন্দ করে।

[৬] নিখিল সংবাদপত্রটি তুলে নিল।’ ওই সংবাদপত্রে কোন বিষয় মন্তব্য করা হয়েছে?

উত্তর : ভালােভাবে সদগতির ব্যবস্থা করে গােটা কুড়ি মৃতদেহকে স্বর্গে পাঠানাে হয়নি বলে সংবাদপত্রের এক স্থানে তীক্ষ্ণধার হা-হুতাশভরা মন্তব্য করা হয়েছে।

READ ALSO  গঙ্গাস্তোত্রম্ - দ্বাদশ শ্রেণী (Sanskrit HS)

[৭] “কদিন পরেই মাইনের তারিখ এল।”—মাইনের টাকা প্রতি মাসে নিখিল কয় জায়গায় পাঠায়?

উওর : মাইনের টাকা প্রতি মাসে নিখিল তিন জায়গায় পাঠায় কিছু কিছু করে।

[৮] “সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষন্ন গম্ভীর হয়ে আছে।” -কোন্ দিন থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষন্ন গম্ভীর হয়ে আছে ?

উত্তর : আপিস যাবার পথে ফুটপাথে প্রথম অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য। দেখার দিন থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষন্ন গম্ভীর হয়ে আছে।

[৯] “একটা কাজ করে দিতে হবে ভাই।”—বাক্তা কী কাজ করে দিতে অনুরােধ করেছে?

উত্তর : বক্তা অর্থাৎ মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে যে কাজ করে দিতে অনুরােধ জানায় তা হল তার মাইনের সম্পূর্ণ টাকাটা রিলিফ-ফান্ডে দিয়ে আসতে হবে।

[১০] “আমায় কিছু একটা করতে হবে ভাই।” –সে কেন কিছু একটা করতে চেয়েছিল?

উত্তর : মৃত্যুঞ্জয় অনাহারের মৃত্যু প্রতিরােধ করার উদ্দেশ্যে কিছু একটা করতে চেয়েছিল তার সচেতন বিবেকের তাগিদে।

[১১] মন্তব্য শুনে মৃত্যুঞ্জয় ঝাঝিয়ে উঠল।”—ঝাঁঝিয়ে উঠে সে কী বলেছিল?

উত্তর : ঝঝিয়ে উঠে মৃত্যুঞ্জয় বলেছিল যে তার স্ত্রী না খেলে তার কিছু করার নেই। সে তাকে অনেক বুঝিয়েছে কিন্তু তার স্ত্রী শুনতে নারাজ।

[১২] “মৃত্যুঞ্জয় আপিসে যায় না।”—মৃত্যুঞ্জয় আপিসে না গিয়ে কোথায় যায়?

উত্তর : মৃত্যুঞ্জয় আপিসে না গিয়ে শহরের ফুটপাথে অন্নপ্রার্থী মানুষদের দেখার জন্য ঘুরে বেড়ায়।

[১৩] ‘তার চোখ দেখেই টের পাওয়া যায় কার চোখ দেখে কী টের পাওয়া যায়?

উত্তর : মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ দেখে টের পাওয়া যায় যে নিখিলের কোনো কথার মানে সে আর বুঝতে পারছে না, তার অভিজ্ঞতার কাছে কথার মারপ্যাচ অর্থহীন হয়ে গেছে।

[১৪] “ক্রমে ক্রমে নিখিলকে হাল ছেড়ে দিতে হয়।”—নিখিলকে হাল ছেড়ে দিতে হয় কেন?

উত্তর : নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে নানাভাবে তাকে উলটো কথা শােনানাের চেষ্টা করে। কিন্তু মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ দেখেই টের পাওয়া যায় যে সে তার কথার মানে বুঝতে পারছে না।

READ ALSO  গঙ্গাস্তোত্রম্ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং উত্তর (Sanskrit QNA) HS

[১৫] “তারপর মৃত্যুঞ্জয়ের গা থেকে ধূলিমলিন সিল্কের জামা অদৃশ্য হয়ে যায়। এরপর মৃত্যুঞ্জয়ের পােশাক ও চালচলনে কী পরিবর্তন হয়েছিল?

উত্তর : মৃত্যুঞ্জয়ের পরনে ধুতির বদলে আসে ছেড়া ন্যাকড়া, গায়ে তার মাটি জমা হয়, দাড়িতে মুখ ঢেকে যায়। ছােটো একটা মগ হাতে আরও দশজন অন্নপ্রার্থীর সঙ্গে সে ফুটপাথে পড়ে থাকে এবং কাড়াকাড়ি করে লঙ্গরখানায় খিচুড়ি খায়।

[১৬] “কারাে বুকে নালিশ নেই, কারাে মনে প্রতিবাদ নেই।” এর কারণ কী?

উত্তর : লঙ্গরখানায় অন্নপ্রার্থী মানুষেরা কোথা থেকে কীভাবে সবকিছু ওলট-পালট হয়ে গেল তা জানে না। সবকিছু তারা ভাগ্যের হাতে সঁপে দিয়ে মুখ বুজে মেনে নেয়। এই কারণে। তাদের কারাে বুকে নালিশ নেই, কারাে মনে প্রতিবাদ নেই।

[১৭] “মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শােচনীয়।” –এই অবস্থার কারণ কী?

উত্তর : বাড়ির কর্তা মৃত্যুঞ্জয় তার মাইনের সম্পূর্ণ টাকাটা রিলিফ-ফান্ডে দান করে দিয়েছে। বাড়িতে নয়জন লােক। মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীও শয্যাশায়ী। একারণেই মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শােচনীয়।

[১৮] টুনুর মাকে মিথ্যা করে বলে যে মৃত্যুঞ্জয় আসছে— খানিক পরেই আসছে।’ –এরূপ বলার কারণ কী?

উত্তর : বিরাট শহরের আগন্তুক মানুষের ভিড়ে মৃত্যুঞ্জয়কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তার অসুস্থ স্ত্রীকে আশ্বস্ত করার কারণে কিছুক্ষণ বাইরে কাটিয়ে, তারপর ফিরে এসে সকলে তাকে মিথ্যা করে বলে যে তার স্বামী মৃত্যুঞ্জয় খানিক পরেই‌ আসছে।

[১৯] “নিখিলকে বার বার আসতে হয়।” —নিখিলকে বার বার আসতে হয় কেন?

উত্তর : নিখিলের বন্ধু মৃত্যুঞ্জয় নিরুদ্দেশ, তার স্ত্রী শয্যাশায়ী। ছেলেমেয়েগুলি অনাদরে, অবহেলায় ক্ষুধার জ্বালায় চিৎকার করে কঁদে। এই কারণে বারবার নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে আসে তাদের দেখার জন্য।

[২০] টুনুর মা তাকে সকাতর অনুরােধ জানায়,’ —টুনুর মা কাকে কী অনুরােধ জানায়?

উত্তর : টুনুর মা তার স্বামীর বন্ধু নিখিলকে অনুরােধ জানায় যে, সে যেন তার স্বামী মৃত্যুঞ্জয়ের খেয়াল রাখে এবং তার সঙ্গে থাকে।

READ ALSO  বনগতা গুহা - অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

[২১] ‘উঠতে পারলে আমিই তাে ওর সঙ্গে ঘুরতাম ঠাকুরপো।’ ‘ওর সঙ্গে কে কেন ঘুরত?

উত্তর : টুনুর মা তার স্বামী মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে থাকতে থাকতে তার মতাে হয়ে গেছে। একারণে যদি সে সুস্থ থাকত তাহলে সেও তার স্বামীর সঙ্গে পথে পথে ঘুরে বেড়াত তান্নপ্রার্থী মানুষদের দেখার জন্য।

[২২] “কেবলি মনে পড়ে ফুটপাথের ওই লােকগুলির কথা।”—লােকগুলির কথা কার কেন মনে পড়ে?

উত্তর : টুনুর মা তার স্বামীর সঙ্গে থাকতে থাকতে তার স্বামীর মতােই হয়ে গেছেন। স্বামীর মতাে সেও যেন ক্রমশ পাগল হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে তার কেবলই ফুটপাথের অন্নপ্রার্থী মানুষগুলির কথা মনে পড়ে।

[২৩] “একেবারে মুষড়ে যাচ্ছেন দিনকে দিন।” –মুষড়ে
যাওয়ার কারণ কী?

লঙ্গরখানায় অন্নপ্রার্থী মানুষদের চিন্তায় মৃত্যুঞ্জয়ের একটা ধারণা জন্মেছে যে যথাসর্বস্ব দান করলেও সে তাদের কিছুই ভালাে করতে পারবে না। তার মনে দারুণ একটা হতাশা জাগছে তাই দিনকে দিন মুষড়ে যাচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
WP Radio
WP Radio
OFFLINE LIVE